কয়েকটি যোনির রোগ ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা(Some vaginal diseases and homeopathic treatment)
যোনির রোগ অত্যন্ত পীড়া ও কষ্টদায়ক। যোনির প্রদাহ, যোনিতে চুলকানি, যৌনিতে ঘা বা অর্বুদ প্রভৃতি হলে আক্রান্তস্থলে ব্যথা হয়, যন্ত্রণা করে, জ্বালা করে, কখনো বা চুলকায়। আক্রান্ত রোগিনীকে সব সময় অস্বস্তিকর অবস্থায় কাটাতে হয়। যৌনির রোগ থেকে বন্ধ্যাত্ব-দোষও দেখা দিতে পারে।
যোনির রোগ হলে ঠাণ্ডা ও গরম থেকে রোগিনীকে সাবধান থাকতে হবে। নিয়মিত ও নির্দিষ্ট সময়ে স্নান-খাওয়া করা দরকার। পুষ্টিকর অথচ হালকা ধরনের খাদ্য গ্রহণ এ ধরনের রোগিনীর পক্ষে উপকারী। রোগিনীর পক্ষে কঠিন পরিশ্রম করা ও বিশ্রাম কম হওয়া যথেষ্ট ক্ষতিকর।
• যোনিতে অর্বুদ হলে : ক্রিয়োজোট ৬ বা কার্বো-অ্যানিমেলিস ৩।
• যোনিতে নালী ঘা হলে : ল্যাকেসিস ৬ বা সিলিকা ৬।
• যোনির অর্বুদ থেকে রক্তস্রাব হলে : কক্কাস-ক্যাক্টাই ৩x।
- স্রাব বদল হলে–পাল্স্ ৬।
- সঙ্গমের ফলে বা আঘাত-জনিত কারণে রক্তস্রাব হলে —আর্নিকা ৩।
• যোনি শক্ত বা কঠিন হলে : কোনায়াম ৬ বা বেলেডোনা ৩।
• যোনিতে পচন দেখা দিলে : ল্যাকেসিস ৬ বা আর্সেনিক ৬।
পারদ-দোষে যোনিতে পচন দেখা দিলে—নাইট্রিক অ্যাসিড ৬।
• যোনিতে প্রদাহ হলে :
প্রদাহ নানা কারণে হতে পারে, যেমন ঠাণ্ডা লেগে, আঘাত লেগে, প্রমেহ-জনিত দোষের জন্য ইত্যাদি। যোনি লাল হয়ে উঠবে, স্ফীত হবে, ব্যথা- যন্ত্রণা হবে ও পুঁজ হবে। সঠিক লক্ষণ দেখে ওষুধ দেওয়া দরকার।
- আঘাত লেগে প্রদাহ হলে—আর্নিকা ৩।
- ঠাণ্ডা লেগে প্রদাহ হলে—মারকিউরিয়াস ৩ বা অ্যাকোন ৩x।
- প্রমেহ-দোষে প্রদাহ হলে — সিপিয়া ১২।
- প্রস্রাব করার সময় জ্বালা বা যন্ত্রণা হলে—নাইট্রিক অ্যাসিড ৬, ক্যান্থারিস ৬, বোরাক্স ৬, সালফার ৩০।
যে-কোনো একটি ওষুধ সেব্য।
- যােনিতে চুলকানি দেখা দিলে ?
কেন চুলকায় তা জানা দরকার।
সাধারণতঃ ফুস্কুড়ি হয়েই চুলকায়। এ অবস্থার ওষুধ—নাইট্রিক অ্যাসিড ৩০, আর্সেনিক ৩০, মারকিউরিয়াস ৬ বা সালফার ৩০।
প্রথমে জানা দরকার কেন বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়। ডিম্বকোষের ক্ষীণতা এবং শ্বেত প্রদরের তীব্রতাকেই প্রধানতঃ বন্ধ্যাত্ব-দোষের জন্য দায়ী করা চলে। এ রােগের উৎকৃষ্ট ওষুধ—বােরাক্স ও কোনায়াম।
- ডিম্বকোষের ক্ষীণতার জন্য—কোনায়াম ৩।
- শ্বেত প্রদরের তীব্রতার জন্য—বােরাক্স ৬।
- এ রােগের অন্য ওষুধ—নেট্রাম মিউর ৩০ ও ফসফরাস ৬।
নিয়মিত স্নান, পুষ্টিকর আহার, দীর্ঘদিন বাদে বাদে সঙ্গম বন্ধ্যাত্ব-দোষের পক্ষে উপকারী।