হোমিওপ্যাথিতে চিকিৎসা কালে গুরুত্বপূর্ণ ৮ টি নিয়ম

হোমিওপ্যাথিতে চিকিৎসা কালে গুরুত্বপূর্ণ ৮ টি নিয়ম

হোমিওপ্যাথিতে চিকিৎসা কালে হোমিওপ্যাথির মূল নীতিগুলি উপস্থাপন করার ধারণাটি হল আমাদের রোগীদের এবং পাঠকদের সচেতন করা যে আমাদের ডাক্তাররা আপনাকে যে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা দিয়ে থাকেন তা হোমিওপ্যাথির বৈজ্ঞানিক নীতিগুলির উপর ভিত্তি করে। গুরুত্বপূর্ণ হোমিওপ্যাথিক নীতিগুলি, যা আমাদের চিকিৎসকদের চিকিৎসা প্রদানের ক্ষেত্রে গাইড করে৷

হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেলে এই ৮ নিয়ম মেনে চলুন অবশ্যই! নয়তো আখেরে ক্ষতি আপনারই

আপনিও যদি হোমিওপ্যাথিতে চিকিৎসা করিয়ে থাকেন, তাহলে এগুলো মাথায় রাখুন। 

অনেকেই আছেন যাঁরা অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসার থেকে হোমিওপ্যাথির ওপর বেশি ভরসা করেন। কোনও রোগ হলেই তাঁরা চোখ বুজে করান হোমিওপ্যাথির চিকিৎসা। তবে জানেন কি, হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেলে ডাক্তাররা বেশ কিছু জিনিস মেনে চলার পরামর্শ দেন। নাহলে বড় বিপদ হতে পারে। ওষুধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হওয়ার যেমন সম্ভাবনা থাকে, তেমনই নিময় মেনে না খেলে ওষুধ কাজ না-করারও ভয় থাকে। জানুন এক্ষেত্রে কী কী করবেন আর কী করবেন না। 

  • হোমিওপ্যাথি ওষুধ খাওয়ার ১০ মিনিট আগে বা পরে কিছু খাবেন না। এমনকী, জল না পান করার কথাও বলা হয়। যে সমস্ত ওষুধ জলে গুলে খেতে হয়, সেগুলোর ক্ষেত্রে চিকিৎসকের বলে দেওয়া মাপ মতো জল ব্যবহার করুন।
  • হোমিওপ্যাথি ওষুধ কখনওই হাতে নেবেন না। এর ফলে ওষুধে ব্যবহার করা স্পিরিট উবে যায়। পরিবর্তে কাগজের পুরিয়া থেকে সরাসরি এথবা ওষুধের শিশির ঢাকনায় ঢেলে নিয়ে তারপর ওষুধ মুখে দিন।
  • হোমিওপ্যাথি ওষুধ খাওয়ার আগে জলে ভাল করে মুখ কুলকুচি করে নিন। এতে বেশি উপকার পাবেন।
  • অনেক চিকিৎসকই হোমিওপ্যাথি ওষুধ খাওয়ার সময় টক জাতীয় খাবার না খাওয়ার কথা বলেন। এই ব্যাপারে অবশ্যই ডাক্তারের থেকে জেনে নেবেন।
  • একইসঙ্গে অ্যালোপাথি ও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা না করানোই ভালো। এক্ষেত্রেও আগে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলুন।
  • বাজারে হোমিওপ্যাথির বই সহজলোভ্য। কিন্তু তা দেখে নিজে নিজে চিকিৎসা না করাই ভালো।
  • এমন কোনও তাক বা টেবিলে হোমিওপ্যাথির ওষুধ রাখবেন না, যেখানে সরাসরি রোদ আসে। ওষুধের শিশির ঢাকনাও ভালো করে বন্ধ করবেন।
  • হোপিওপ্যাথি ওষুধ যতদিন খাবেন ততদিন কোনও রকম নেশা করা থেকে বিরত থাকুন। সিগারেট বা মদ খেলে ওষুধের কার্যকারিতা অনেকটাই কমে যায়।
শেয়ার করে ভালবাসা দেখান

Leave a Reply